- সারাদেশ
- কেনাকাটায় বেয়াইচক্র
কেনাকাটায় বেয়াইচক্র

ছবি: ফাইল
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মেশিন, ওষুধ, খাদ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করেন ম্যানিলা মেডিসিনের মালিক মনজুর আহমেদ আজাদ। তাঁর সহযোগী হিসেবে আছেন এম এইচ ফার্মার মালিক মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, অভি ড্রাগসের মালিক জয়নাল আবেদীন ও আলবিলা ফার্মেসির মালিক আলমগীর হোসেন মিন্টু।
এর মধ্যে আজাদ ও আলমগীর সম্পর্কে বেয়াই। এ কারণে তাঁরা 'বেয়াইচক্র' নামে পরিচিত। দুই বেয়াই এবং তাঁদের সহযোগীরা রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও প্রশাসনসহ সব স্তরের মানুষকে ম্যানেজ করে চলেন। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের সবাইকে দুদক থেকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনা ও সরবরাহে দুর্নীতি করায় রমেকের ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এ নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ওই সিন্ডিকেট সদস্যদের আসামি করা হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে এমএসআর (মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকিউজিট) খাতে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ও পথ্য খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং বিনা টেন্ডারে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার মালপত্র কেনার অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের মামলাটি চালু থাকা অবস্থাতেই ৪ বছর ধরে কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টিয়ে ফের হাসপাতালের কাজ করছেন।
যেমন হাসপাতালে মাস্টার রোলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন সেই কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন। তাঁর আগের প্রতিষ্ঠান অভি ড্রাগসের নাম পাল্টিয়ে করা হয়েছে সারাহ এন্টারপ্রাইজ। সারাহর আইডি ঝুলছে প্রতিটি অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর গলায়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে সিন্ডিকেটের মূল চালক মনজুর আহমেদ আজাদের মোবাইলে কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কয়েক দফা চেষ্টা করেও জয়নাল আবেদীনের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন