কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ধর্ষণের শিকার হয়ে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৫) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে। 

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কটিয়াদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর বাবা। উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের কাজিরমোড় এলাকার তারা মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার (১৯) বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা করেন। 

আসামি সজীবকে এরই মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে শুক্রবার (১ জুলাই) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই কিশোরী স্থানীয় একটি অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামে সজীব মিয়া ও প্রতিবন্ধী কিশোরীর পাশাপাশি বাড়ি। সেই সুবাদে সজীব মিয়ার বাড়ির আঙিনা দিয়ে কিশোরী প্রায় সময়ই যাতায়াত করত।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে কিশোরী সজীব মিয়ার বাড়ির আঙিনা দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সজীব তাকে ফুসলিয়ে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানালে ইশারা-ইঙ্গিতে সজীব ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ভয়ে কিশোরী এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি। সম্প্রতি তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে তার বাবা-মা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কটিয়াদীতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরী তার বাবা-মাকে ইশারা-ইঙ্গিতে ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং সজীবকে দেখিয়ে দেয়। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে সজীব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়ে জন্মগতভাবে বাকপ্রতিবন্ধী। এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সজীব মিয়া আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. কামাল জানান, অভিযুক্ত সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সজীব মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।