- সারাদেশ
- হরিজনদের সুখের নীড়
হরিজনদের সুখের নীড়

হরিণাকুণ্ডুর পার্বতীপুর এলাকায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-সমকাল
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঠাঁই হয়েছে ভিক্ষুক, দিনমজুর, ভ্যানচালকসহ নানা শ্রেণির মানুষের। তাঁদের মধ্যে রয়েছে হরিজনরাও। এসব মানুষ সুখের নীড় গড়েছেন এসব ঘরে।
শহর থেকে দক্ষিণে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে পার্বতীপুর এলাকায় দেখা মেলে আশ্রয়ণের পাঁচটি ঘর। হরিজন পরিবারের সদস্যদের জন্য ভূমিহীন-গৃহহীন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে এসব ঘর।
হরিজন সম্প্রদায়ের মিলন বলেন, 'পরিত্যক্ত জায়গা ও ভাড়া বাড়িতে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করেছি। পৌরসভার সামান্য বেতনে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। জমি কেনা বা ঘর করার সাধ্য আমাদের নেই। আমাদের পাঁচ পরিবারকে আশ্রয়ণের ঘর দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা শান্তিতে বসবাস করছি।'
সাধুহাটি-তৈলটুপি সড়কের গা ঘেঁষে কুলবাড়িয়া এলাকায় রয়েছে আরশিনগর গুচ্ছগ্রামে আশ্রয়ণের সারি সারি ঘর। এক পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর। ঘরের সামনে শোভা পাচ্ছে সারি সারি গাঁদা ফুলের গাছ। রয়েছে নানারকম সবজির সমারোহ। এখানে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৫টি ঘর। এখানকার বাসিন্দারা সমবায়ের মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়েছেন সুখের নীড়।
এ পল্লির একজন মনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, তাঁর স্বামী মারা গেছে পাঁচ বছর আগে। ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই। কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেননি নিজের ঘর হবে তাও আবার পাকা। এ শান্তির নীড় তাঁর কাছে বেহেশত।
জানা যায়, চলতি বছর এই প্রকল্পের আওতায় ৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ৪১টি ঘর তৈরি করা হয়েছে।
ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় উপকারভোগীদের খুঁজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থান নির্বাচনে তাঁদের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছিল। ঘর পাওয়া সবাই নিজের ঘরের আঙিনায় নানারকম চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ফলে এসব পরিবারের দীর্ঘদিনের দুঃখকষ্ট লাঘব হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, প্রতিটি ঘরই মজবুত ও আকর্ষণীয় নকশায় বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘরে তাঁরা নিরাপদে আনন্দে বসবাস করছেন।
মন্তব্য করুন