হেরোইন দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়। 

তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক। 

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কোনাবাড়ী থানাধীন রাজাবাড়ি রুবেল ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে থেকে আব্দুল্লাহ (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেন এসআই লুৎফর রহমান। এসময় তার কাছ থেকে দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করে লেগুনায় উঠায় পুলিশ। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে দুই লাখ টাকা দাবি করেন এসআই লুৎফর রহমান। টাকা না দিলে হেরোইন দিয়ে মামলা দেওয়ারও ভয় দেখান তিনি। কিন্তু এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় ওই যুবক। একপর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দিতে রাজি হয় পুলিশ। পরে ওই যুবক মোবাইলে ফোন করে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা আনে এবং পুলিশের সোর্সের মোবাইলের বিকাশের মাধ্যমে ১৩ হাজার ও আব্দুল্লাহর সঙ্গে ছিল ৬ হাজার টাকা মোট ৪৯ হাজার টাকা দেয় এস আই লুৎফরকে। পরে আব্দুল্লাহকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসব টাকা লেনদেন করা হয় বাইমাইল গ্লোবাল মার্চেন্ডাইজ কারখানার পাশ থেকে। এ ঘটনার পরেই এসআই লুৎফরকে প্রত্যাহার করা হয়। 

প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, কী কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে সেটি জানি না।

এ কথা বলার পরপরই তিনি কল কেটে দেন।

এর আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় থাকাকালীন গত ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসআই লুৎফর রহমান দক্ষিণ সালনা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. রিপনকে (৩১) আটক করে। পরে হেরোইন দিয়ে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নেন তিনি। এ ঘটনার পরই তাকে কোনাবাড়ী থানায় বদলি করা হয়েছিল।