মামলা থেকে বাঁচানোর প্রতিশ্রুতিতে ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ছয় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। নগরের বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রুবেল হোসেন, মো. মানিক হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মো. নীরব ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকী।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. আনোয়ার হোসেন ভুঞা জানান, রুবেল হোসেন একজন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। সহযোগীদের নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বা র‌্যাব সদস্য হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত রুবেল তার সহযোগীদের নিয়ে ইদ্রিসকে র‌্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বায়জিদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী মো. ইদ্রিস পাটোয়ারীর নামে জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত এবং বিক্রয়ের দায়ে ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়। গত ২৬ জুন রুবেল নিজেকে ক্যাম্প কমান্ডারের ড্রাইভার এবং র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে ছাড়ানোর নামে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী পাঁচটি বিকাশের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা পাঠায়। কিন্তু ২৭ জুন ভুক্তভোগীর স্বামী বাসায় না ফেরায় ডাবলমুরিং থানা এবং র‌্যাব-৭, সিপিসি-২ ও হাটহাজারী ক্যাম্পে খবর নিয়ে জানতে পারে তার স্বামীর নামে ডাবলমুরিং থানায় মামলা হয়েছে। তখন ইদ্রিসের স্ত্রী প্রতারক রুবেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করতে থাকে। এ অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে।