পরকীয়ার জেরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সাইদ (৩০) নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম গেরাপচা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

ঘাতক মাহফুজ (৪০) একই গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের দায় স্বীকার করেছেন মাহফুজ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবু সাইদ ও মাহফুজ প্রতিবেশী এবং দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। মাহফুজের স্ত্রী দুই বছর ওমানে ছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে সাইদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওমান থেকে দেশে ফিরে মাহফুজকে তালাক দেন মিনারা। এ ঘটনার পরও সাইদ ও মাহফুজ একসঙ্গেই চলাফেরা করতেন।

কিছুদিন আগে মাহফুজ জানতে পারেন, তার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে সাইদের যোগাযোগ আছে এবং মোবাইলে কথা-বার্তা হয়। এতে তার সন্দেহ হয় যে, সাইদের পরামর্শেই স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন। এ ভেবে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হন এবং সিদ্ধান্ত নেন সাইদকে শায়েস্তা করবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মাহফুজ একটি ধারাল দা নিয়ে সাইদের বাড়িতে গিয়ে তার মাথায় ও ঘারে দুইটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যান। দায়ের কোপে সাইদের ঘার ও মাথার অর্ধেক নেমে যায়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন সাইদ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছেন।

দ্রুত তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের তিনটি আভিযানিক দল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নয়আনীকান্দা গ্রাম থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দাসহ মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহম্মেদ বাদল সমকালকে বলেন, নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে পরকীয়ার জেরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ছেলে নিহত হওয়ার পর বাবা নজরুল বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তার জ্ঞান ফিরলে এ হত্যার সঙ্গে আরও কোনো কারণ আছে কি না, তা জানা যাবে। ঘাতক মাহফুজ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।