চট্টগ্রামে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে গিয়ে নূরুল ইসলাম নাহিদ (৪০) নামের এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শকে নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়- প্রথমে পুলিশ এমনটা ধারণা করলেও মো. শওকত (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পুলিশ বলছে, নাহিদ পরিবহন শ্রমিক হলেও জড়িত ছিলেন বৈদ্যুতিক তার চোর চক্রের সঙ্গে। তার চুরি করতে গিয়েই শরীর ঝলসে যায় নাহিদের। এতে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত নাহিদ চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বাদশা চেয়ারম্যান ঘাটা শামসুর কলোনির মৃত আকবর আহমদের ছেলে। তিনি হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাহিদকে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে দুই যুবক নাহিদকে অচেতন অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশায় করে নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় তাঁর বাসার সামনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে তারা অটোরিকশা থেকে নেমে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পুলিশ নাহিদের লাশ হেফাজতে নেয়। সিএনজি অটোরিকশাচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেলে শওকত নামের পুরাতন তামা ও লোহার সামগ্রীর ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
বাকলিয়া থানা পুলিশ জানায়, স্ত্রীর কাছে কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে নাহিদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা এলাকায় যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ওসমান নামের এক মাঝিসহ আরও ২/৩ জন ছিলেন। ভোর ৪টার দিকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার খুলতে গিয়ে নাহিদ বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা শওকতকে ফোন করেন। শওকত তাঁদের কাছ থেকে চোরাই মাল কিনতেন।

এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি মো. আবদুর রহিম।