- সারাদেশ
- বিএনপি নেতা মানুয়ার নির্দেশেই যুবদল নেতাকে হত্যা: পুলিশ
নেপথ্যে দলীয় কোন্দল
বিএনপি নেতা মানুয়ার নির্দেশেই যুবদল নেতাকে হত্যা: পুলিশ

গ্রেপ্তার দুইজন, ছবি: সমকাল
যশোর নগর বিএনপির নেতা শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশেই জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি বদিউজ্জামান ধ্বনিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে এ হত্যাকাণ্ড।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা মানুয়াকে। বুধবার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলাটির বাদী নিহত ধ্বনির বড় ভাই ও বিএনপির কর্মী মনিরুজ্জামান মনি।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক পাড়া ও খুলনার দিঘলিয়া বারাকপুর থেকে মামলাটির প্রধান আসামি রায়হান (২৫) ও ইছা মীরকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে রায়হান মানুয়ার ভাগনে। এছাড়া র্যািবের অভিযানে ধরা পড়েছেন আল আমিন (২০) নামে আরেক আসামি।
আটক রায়হান ও ইছা মীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতোয়ালি পুলিশের যৌথ অভিযানে ঘটনাস্থল সংলগ্ন শহরের চোপদারপাড়া আকবরের মোড় ভাঙ্গারিপট্টি মসজিদের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি গাছি দা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বার্মিজ চাকু।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত যুবদল নেতা ধ্বনির সঙ্গে একই এলাকার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রাথী শামীম আহমেদ মানুয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছিল। এছাড়া গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মানুয়ার জামাতা যুবলীগকর্মী ও সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাত খুন হন। ধ্বনি ওই মামলার আসামি ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি ওই মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। এসব দ্বন্দ্বের জেরেই মানুয়ার নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহত ধ্বনির বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরক আইনে আরও দুইটি মামলাসহ মোট ১২টি মামলা ছিল। আর গ্রেপ্তার রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড় সংলগ্ন একটি ফার্মেসিতে বসে ছিলেন জেলা যুবদলের সহ সভাপতি বদিউজ্জামান ধ্বনি। এসময় মানুয়ার ভাগনে রায়হানের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও চাকু মেরে খুন করেন।
মন্তব্য করুন