জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেছেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এই সেতু আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের জায়গা। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে কর্মোদ্যম শুরু হয়েছে, তা ভিশন-২০৪১ অর্জনে মাইলফলক।

বৃহস্পপতিবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘খুলনার উন্নয়ন সম্ভাবনা: প্রেক্ষিত পদ্মা সেতু’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় আলোচকরা পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে কৃষিবান্ধব অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মোংলা রাস্তা চার লেন করাসহ টেকসই উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও ইকো-ট্যুরিজমে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি বŞজলাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. তরুণ কান্তি বোস। আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাজিম উদ্দিন পায়েল এবং অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক খান মেহেদী হাসান। সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল।

সিনিয়র সচিব আলী আজম আরও বলেন, আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস করতে হলে পরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।

কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এর আগে সিনিয়র সচিব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নবনির্মিত গেট উদ্বোধন এবং ৬১ জন চর্মকারকে কাজের সুবিধার্থে ছাতা প্রদান ও দুস্থদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।