দুর্নীতি মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পিছিয়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। বিচারক ছুটিতে থাকায় শুনানি পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুসা। এর আগে গত ৫ জুলাই উভয় আসামিকে 'নির্দোষ' দাবি করে আদালতে তাঁদের পক্ষে আইনজীবী আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

প্রদীপের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে নগরের কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় একটি ছয়তলা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আসামি চুমকি কারনের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক। কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সাজিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। গত ১৫ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তাঁর স্ত্রী চুমকি পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে আদালতে চুমকি কারন আত্মসমর্পণ করেন।