
নাব্য সংকটে আটকে যাচ্ছে লঞ্চ। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পার হচ্ছেন যাত্রীরা সমকাল
ঈদুল আজহার আগে গাইবান্ধার বালাসী-জামালপুরের বাহাদুরাবাদ নৌরুটে চারটি লঞ্চ চালু হওয়ায় স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু স্বস্তির ঈদযাত্রা এখন ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকটে লঞ্চগুলো এখন আটকে যাচ্ছে মাঝ নদীর ডুবোচরে। ফলে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে। এ অবস্থায় বরাবরের মতো নৌকাই ভরসা তাঁদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের।
তাঁরা জানান, গাইবান্ধাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর। কিন্তু নাব্য সংকটে ফেরি চালু না হলেও ১৭ বছর পর লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়েছিল। এতে উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার মানুষ স্বল্প খরচে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সহজে যাতায়াত করতে পারছেন। কিন্তু নাব্য সংকট এখন সেই যাত্রায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
লঞ্চ সার্ভিস চালুর মাধ্যমে ঢাকা, ময়মনসিংহ বা সিলেট বিভাগ থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যাতায়াতে যমুনা সেতু ব্যবহার করা লাগছে না। এড়ানো যাচ্ছে যানজটের ভোগান্তি; কমেছে সময় ও টাকার খরচও।
জামাল হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় সময় সাশ্রয় হয়। যানজট থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ।
যাত্রীরা জানান, বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে বালাসী ঘাটের লঞ্চ ভাড়া ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। কিন্তু নৌকা ইজারাদারদের সিন্ডিকেটের কারণে ২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। নদী পার হতে সময় লাগছে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের সহজে যাতায়াতের জন্য এ রুট চালু রাখতে নিয়মিত নদীতে ড্রেজিং করার দাবি লঞ্চ মালিক সমিতির নেতাদের।
গাইবান্ধা লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার মুকুল মিয়া জানান, চারটি লঞ্চ দিয়ে এই ঈদে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে লঞ্চগুলোতে। কিন্তু ঈদের পর নাব্যতা সংকটে যাত্রীদের লঞ্চের পাশাপাশি নদী পারাপার হতে হচ্ছে নৌকায়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহনের চাপ কমাতে ২০১৪ সালে বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি চালুর লক্ষ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়নি। এ সেবা চলুর দাবি যাতায়াতকারীদের।
মন্তব্য করুন