- সারাদেশ
- ছাতকে ডায়রিয়া সর্দি জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে
ছাতকে ডায়রিয়া সর্দি জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে

ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীরা সমকাল
জ্বর ও কাশি নিয়ে আড়াই মাস বয়সী যমজ ছেলে আহসান আহমদ ও আনসার আহমদকে গত বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন বাবা সাইফুল ইসলাম। তিনি পেশায় দিনমজুর। ছাতকের নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাপন গ্রামের বাসিন্দা এই ব্যক্তি জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছে ছেলে দুটো। প্রাথমিক চিকিৎসায় কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসুক মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, 'ডায়রিয়া ও জ্বর থাকায় এক বছর বয়সী কন্যা সাদিকা সুলতানাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন স্যালাইন চলছে। অবস্থা এখনও স্ব্বাভাবিক হয়নি।'
ছাতক উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন প্রতিদিনই সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছে চার শতাধিক বিভিন্ন বয়সী রোগী। এদের মধ্যে বেশিরভাগকেই বহির্বিভাগে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা আক্রান্ত থাকতে পারে। তবে পরীক্ষা না করায় করোনা রোগী আলাদা করা যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতেও প্রতিদিন বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গায়ে ব্যথা নিয়ে আসা রোগীর ভিড়। জ্বর, সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে চার থেকে দশদিন। জ্বর সেরে গেলেও শুকনো কাশি, দুর্বলতা ভোগাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছে, গলাব্যথাও হচ্ছে। তাই রোগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের আলাদা করে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজিব চক্রবর্তী বলেন, মূলত আবহাওয়াজনিত কারণেই সর্দি-জ্বরের প্রকাপ বেড়েছে।
করোনার উপসর্গের রোগীও বাড়ছে। এ অবস্থায় মধু-লেবুর রসসহ দেশীয় ফলের রস পান করা উত্তম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
মন্তব্য করুন