- সারাদেশ
- পর্যটকের দেখা নেই কিশোরগঞ্জের হাওরে
পর্যটকের দেখা নেই কিশোরগঞ্জের হাওরে

কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটক না থাকায় তীরে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রলার সমকাল
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদের ছুটিতে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠবে বলে আশা করছিলেন সংশ্নিষ্টরা। তবে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক পর্যটক না আসায় নিকলী, ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের হাওরে তিন শতাধিক ট্রলারচালক ও সহকারী অলস সময় কাটাচ্ছেন। কোলাহল নেই হোটেল, রিসোর্টেও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রচণ্ড গরম ও বন্যার কারণে পর্যটক আসেনি। গতকাল শুক্রবারও দেখা মেলেনি পর্যটকদের। হাওরের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত চামড়াঘাট ও বালিখলা ঘাটে ছিল না পর্যটকের পদচারণা। প্রতিটি হোটেল ও রিসোর্ট খালি পড়ে রয়েছে। সংশ্নিষ্ট অনেকে বলছেন, পর্যটকদের নজর এখন পদ্মা সেতুর দিকে। এর প্রভাব পড়েছে হাওরাঞ্চলের পর্যটন শিল্পে।
ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত বছরগুলোয় ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসা শুরু করলেও এবার তা দেখা যায়নি। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে হাওরের পর্যটন খাত। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকলেও গত ঈদুল ফিতরে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এবারও প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাড়া মেলেনি। মাঝি-মাল্লাদের ভাটিয়ালি গানের সুরও থেমে গেছে।
এ পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছেন বলে জানান ট্রলার ও নৌকার মালিক মো. আলম মিয়া, মাঝি সোহরাবউদ্দিন, আবুল হাসান, আবুল কালাম, সমরেশ রায়সহ আরও অনেকে। তাঁরা বলছেন, পর্যটক না আসায় বিপাকে পড়েছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন। ট্রলার মালিক শাহজাহান সর্দার ও আবু হানিফ জানান, এবার পর্যটক না আসায় প্রতিদিন তাঁদের ১২টি ট্রলারে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ চেম্বারের সাবেক সভাপতি বাদল রহমান বলেন, এবার নানা কারণে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা কমে গেছে। দু'দফা বন্যায় মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই। মধ্যবিত্ত শ্রেণির আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। তাঁরা বিমুখ হওয়ায় হাওর পযর্টকশূন্য।
জানা গেছে, হাওরাঞ্চলে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে দিল্লির আখড়া, আনন্দ মোহন বসুর বসতভিটা, শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের বসতবাড়ি, অষ্টগ্রামের কুতুবশাহি মসজিদ, ইটনার শাহি মসজিদ, অল ওয়েদার সড়ক, হিজল বাগানসহ নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা।
মন্তব্য করুন