ফরিদপুরে চিরকুট লিখে সবুজ ঢালি নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। 

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় অবস্থিত হাউজিং এলাকার বি-ব্লকের আওলাদ হোসেনের বাসার প্রবেশ পথের দরজা ভেঙে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সবুজ মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে।

মৃতদেহটির পাশে সেলফে যুবকের মানিব্যাগে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি জানি আমি খারাপ। তাই আমি চলে গেলাম। আমাকে সবাই মাফ করে দেবেন। আমি জানি না আমার কি হবে। ভালো থেকো সবাই।’

একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই চিরকুটে  লেখা হয়, ‘ওর থেকে আমি এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দিয়েন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম।'

মৃত সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, তিনি খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে (৮), এক ছেলে (৫) এবং ছোট ভাই সবুজকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায় বাচ্চারা বাইরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বাসার দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না। তার স্ত্রী পার্লারে চাকরি করেন, তখন তিনিও বাসায় ছিলেন না। এ খবর পেয়ে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে বাসায় ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙে ছোট ভায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

সবুজের ভাবি লিজা বেগম জানান, গত ৪ মাস হলো তারা এখানে ভাড়ায় উঠেছেন। ৩ মাস ধরে দেবর তাদের সঙ্গে থাকছিলেন। দুপুর ১টার দিকে দুজনেই খাওয়া দাওয়া করে তিনি পার্লারের কাজে চলে যান । দেড় বছর আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আগে সবুজ একটা ব্যবসা করতেন। মাথা ব্যথা ও অসুস্থতার জন্য বর্তমানে সবুজ কিছুই করতেন না।

শিশুরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে তাদের চাচা সবুজ বলেন, তার মাথা ব্যথা করছে তিনি ঘুমাবেন। এ কথা বলে তাদের বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেন।

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের সদস্যদের হাতে সবুজের মৃতদেহটি তুলে দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ওই চিরকুটে যে মোবাইল নম্বরটি রয়েছে তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা হবে।