সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর দেশব্যাপী গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে ঐক্য পরিষদের সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি পরিমল কান্তি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, ড. জীনবোধি ভিক্ষু, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, ঐক্য পরিষদের নেতা ইন্দুনন্দন দত্ত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নীলু নাগ ও রুমকি সেনগুপ্ত।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকারি দল ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আমরা এই সমাবেশ থেকে এর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আজও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার। তাই আগামী ২২ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এই কর্মসূচি পালিত হওয়ার পর নতুনভাবে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, নড়াইলের মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যেভাবে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের ওপর হামলা-নির্যাতন হচ্ছে, একইভাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের খানদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিল্টন কুমার দাশকে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শিবলীকে অনুরোধ করছি, অনতিবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে হয়রানি থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নিন।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-কাটগড়ে বসবাসরত জেলেরা সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, পতেঙ্গা-কাটগড় এলাকায় জেলেপীর বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে সন্ত্রাস চলছে। নগরীর ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এই সন্ত্রাসীরা আছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং সিএমপি কমিশনারের কাছে অনুরোধ জেলেপল্লীর বাসিন্দা মৎস্যজীবী ভাইবোনদের নির্বিঘ্নে বসবাসের ব্যবস্থা করুন।