বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের নামে আরও দুটি মামলা হয়েছে।

সালথা থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। শনিবার দুপুরে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত শুক্রবার উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদকে প্রধান আসামি করে হামলা-সংঘর্ষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন স্থানীয় মীরের গট্টি গ্রামের শেখ মজিবুর রহমান। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ মোট ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে অপর আরেকটি সংঘর্ষের মামলা দায়ের করেন স্থানীয় গোট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া এলাকার ইয়াদ আলী। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার মামলায় কারাগারে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যানকে এসব মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখাতে কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ জুলাই রাতে ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬নং আমলি আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তরুণ বাছাড় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে চেয়ারম্যানসহ ১০ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা ওই মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। অভিযোগ উঠে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে।