খুলনার ডুমুরিয়া থেকে ১৫টি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়েছে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উপজেলার ধামালিয়া গ্রামের মোরশেদ সরদারের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে বস্তুগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার এ ঘটনায় স্থানীয় হরিদাশ মণ্ডল, জাহিদ সরদার, মিজানুর রহমান, মামুন সরদার, শিশির মণ্ডল ও ফারুক সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোরশেদ।

তিনি অভিযোগ করেছেন, আগের একটি মামলায় সাক্ষ্য না দিতে অব্যাহত হুমকির অংশ হিসেবে বোমাসদৃশ বস্তুগুলো রাখা হয়েছিল।

ডুমুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, খড়ের গাদার পাশে বাজারের ব্যাগে বোমাসদৃশ বস্তু আছে জানিয়ে একটি নম্বর থেকে ফোন করলে শুক্রবার বিকেলে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যাগে ১০টি বস্তু আছে বলে ধারণা করা হলেও পরে সেখানে ১৫টি লাল স্কচটেপ পেঁচানো কৌটা পাওয়া যায়। এতে ভয়ের কিছু নেই। মূলত ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মোরশেদ বলেন, কিছুদিন আগে এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও বাড়ি দখলের ঘটনায় স্থানীয় এস কে বাকার, বাশার সরদার, ফারুক সরদার, জাহিদ সরদার, সাগর সরদার, শিশির মণ্ডল, মিজানুর রহমানের নামে মামলা করেন গ্রামের বাসিন্দা মাসুক হাসান বুলু। সেই মামলায় আমার পরিবারের তিনজনকে সাক্ষী করা হয়। এরপর থেকে আদালতে না যেতে এক লাখ টাকা, একটি পাকা ঘর নির্মাণ ও একটি গরু কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আসামিরা। তাতে রাজি না হলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে শুরু করে তারা। এরই অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মাসুক হাসান বুলু বলেন, বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা করার পর থেকে আমাকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি র‌্যাব অফিসে ফোন করে বলা হয়, আমার বাড়িতে অস্ত্র আছে। পরে প্রশাসনের লোক এসে হয়রানি করেন। এভাবে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ওই মামলার আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে এসব করছে।

উভয় মামলার আসামি শিশির মণ্ডলকে কল দিলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আমি কথা বলব না।' এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এর পর আর তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরটি খোলা পাওয়া যায়নি। অন্য আসামিদেরও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। ওসি কনি মিয়া জানান, কেউ পূর্বশক্রতার জের ধরে বস্তুগুলো রাখতে পারেন। উভয় মামলার আসামিদের ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুতই রহস্য উন্মোচন হবে।