- সারাদেশ
- লবণযুক্ত চামড়ার ২০ শতাংশ এসেছে শিল্পনগরীতে
লবণযুক্ত চামড়ার ২০ শতাংশ এসেছে শিল্পনগরীতে

ফাইল ছবি
ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে গত চার দিনে প্রায় ২০ লাখ পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন ট্যানারি মালিকরা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক এসেছে ঢাকার বাইরে থেকে। ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকাগুলো থেকে সংগ্রহ হয়েছে। শনিবার থেকে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকেও চামড়া আসা শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই চামড়া নিয়ে শত শত ট্রাক ঢুকছে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরীতে।
এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। তবে বন্ড লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় অনেক ট্যানারি কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছে না। ফলে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে সমস্যায় রয়েছে তারা।
ট্যানারি মালিকরা বলছেন, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে কেমিক্যাল আমদানি করতে হয়। ট্যানারিগুলো সুপারভাইজড বন্ড সুবিধার আওতায় এগুলো আমদানি করে থাকে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় এনবিআর বন্ড লাইসেন্স নবায়ন করছে না। ফলে অনেক ট্যানারি কেমিক্যাল আমদানি করতে পারছে না।
গত দুই দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছে বেঙ্গল পেলী এক্সপোর্ট কোম্পানি নামের একটি ট্যানারি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেক বাবু রোববার সমকালকে বলেন, লবণ দিয়ে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত চামড়া সংরক্ষণ করে রাখা যায়। উৎপাদনের জন্য চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেলে ঢাকার বাইরে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়। ফলে আগামী তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত চামড়া আসবে হেমায়েতপুরে।
প্রায় ২৫ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত উল্লাহ। সমকালকে তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে রোববার পর্যন্ত লবণযুক্ত ১৮ থেকে ২০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছে ট্যানারিগুলো। এর মধ্যে ৮-৯ লাখ পিস ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে। তবে চামড়া কেনার ইচ্ছা থাকলেও কিছু ট্যানারি কিনতে পারছে না। কারণ, অনেক ট্যানারির বন্ড লাইসেন্স থাকলেও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় তারা নিজেদের বন্ড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছে না। কেমিক্যালও আমদানি করতে পারছে না। তাই পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এবার ৯৫ লাখ পিস পশুর চামড়া সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন ট্যানারি মালিকরা।
মন্তব্য করুন