ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অস্ত্রসহ আটক ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় মামলার আবেদন করেন।

অভিযুক্ত কাব্য আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের অনুসারী।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি তেলবাহী ট্রাকের চালক ও সহযোগীকে মারধর করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কাব্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আরেক কর্মী আল আমিনের বিরুদ্ধে এই ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আল আমিন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশীয় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে সাংবাদিকদের খোঁজে ক্যাম্পাসে মহড়া দেন কাব্য। কাব্যর সঙ্গে ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আসাদ, ফোকলোর বিভাগের প্রথম বর্ষের মাহবুব ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের একই বর্ষের তাসিন আজাদসহ অন্যরা।

একপর্যায়ে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের কার্যালয়ে চলে আসেন তারা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিতি হয়ে একটি রামদাসহ কাব্যকে আটক করে ইবি থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, সোমবার রাতে একটা মোটরসাইকেলে করে কাব্য ও আল আমিন ছিনতাই করেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য বলেন, আমি ছিনতাই করিনি। অস্ত্র নিয়েও আসিনি। অন্য একজন নিয়ে এসেছেন।

এদিকে ইবি থানায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের মামলার আবেদনের বিষয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দেয়নি। পরে ১৫১ ধারায় মামলা দায়ের করে বুধবার বিকেলে কাব্যকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।