বগুড়ায় ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা নবজাতকটির বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিরাপদ হেফাজত থেকে সেই নবজাতককে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বাবা-মায়ের বাড়ি শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায়।

গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের জলেশ্বরীতলার পৌরসভা লেনে ডাস্টবিন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সেখানকার এক বাসিন্দা তার বাসার দরজা খুলে ওই নববজাতক কন্যার কান্না শুনতে পান। পরে তিনি থানায় খবর দিলে এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। উদ্ধারের সময় নবজাতকের বয়স ছিল আনুমানিক ৭দিন। 

সদ্য বদলি হওয়া বগুড়া সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তাজলিমুর রহমান ওই নবজাতককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যান। তিনি জানান, শিশুটির মা-বাবার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি জলেশ্বরীতলা এলাকাতেই। তবে সম্মান রক্ষার্থে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

ইন্সপেক্টর তাজলিমুর রহমান বলেন, নবজাতকটি এক প্রেমিক জুটির। বিয়ের আগেই প্রেমিকা সন্তান প্রসব করেন। দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের কারণে বাচ্চাটিকে কেউ মেনে নিচ্ছিল না। নবজাতকের বাবাও সন্তানকে  অস্বীকার করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কোন উপায় না দেখে মা নবজাতকটিকে ওই ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলে রেখে যান। একটি সাদা শপিং ব্যাগে শাড়ি দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল নবজাতককে। সঙ্গে শিশুটির খাবার হিসাবে দুধসহ একটি ফিডার দেয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, নবজাতকের মায়ের উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাটি বেঁচে থাকুক আর কেউ কুড়িয়ে পেয়ে তাকে নিয়ে যাক। এ অবস্থায় খবর পেয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। একইসাথে বাচ্চাটির মা-বাবা কে, তা জানতে অনুসন্ধান শুরু করে। এক পর্যায়ে নবজাতকের মা-বাবাকেও খুঁজে পায় পুলিশ। পরে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয় সেই নবজাতককে। সন্তানকে পাওয়ার পর বিয়ে বন্ধনেও আবদ্ধ হন নবজাতকের মা-বাবা।

তিনি জানান,দুই পরিবার ওই প্রেমিকে যুগলের বিয়ে মেনে নিয়েছেন। স্বীকৃতিও দিয়েছেন সন্তানকে। এখন ওই নবজাতকসহ তার বাবা-মা ভালো আছেন বলে জানা গেছে।