কারখানার যন্ত্রাংশ ঘোষণা দিয়ে আনা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের দুটি কন্টেইনার আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জালিয়াতির মাধ্যমে কন্টেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছিল।

র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় শনিবার নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে মদভর্তি কন্টেইনার দুটি জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড এবং পাবনার ঈশ্বরদীর বিএইচকে টেক্সটাইলের নামে সেলাই মেশিনের ববিন ঘোষণা দিয়ে চালান দুটি আমদানি করা হয়। শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার দুটি খালাসও হয়। এসব কন্টেইনার খালাসের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকার জাফর আহমদ নামে একজনের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।

কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জানান, কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানির নামে গত ২০ জুলাই টেপটার্ড ইয়ান ঘোষণায় চীন থেকে আসা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। একইদিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা রোভিং মেশিন ববিন ঘোষণায় ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের আরেকটি চালানও খালাসের জন্য বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছিল। চালান দুটি খালাসের সময়ই আমরা খবর পাই সেখানে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা হয়েছে। তবে আমরা অভিযানের জন্য সেখানে যাওয়ার আগেই চালানগুলো বন্দর থেকে খালাস করে বের করে ফেলা হয়।

সাইফুল হক বলেন, পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে আমরা চালানগুলোর ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করি। র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে চালানগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে সেই কন্টেইনার দুটি আটক করা হয়। দুটি চালান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি তরল মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই দুটি চালানে কী পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ আনা হয়েছে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেটি নিশ্চিত করতে গণনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব চালানের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

এ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত সেটি শনাক্তে কাজ চলমান থাকার কথা জানিয়েছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক।