ইউক্রেনের বহুল প্রত্যাশিত খাদ্যশস্য রপ্তানি সোমবার শুরু হতে পারে। দেশটির রপ্তানি শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে পড়বে। 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, ইউক্রেনের প্রথম শস্য রপ্তানিকারী জাহাজ সোমবার ওডেসা বন্দর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রপ্তানি স্বাভাবিক করার জন্য ইস্তাম্বুলের যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খুব শিগগিরই জাহাজের চলাচল রুট চূড়ান্ত করার কাজ শেষ করবে। খবর আলজাজিরা ও এএফপির।

ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গম সরবরাহকারী। গম রপ্তানির জন্য গত ২২ জুলাই ইস্তাম্বুলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউক্রেন, রাশিয়া, জাতিসংঘ ও তুরস্ক।

কালিন জানান, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় এখনও একটি বা দুটি বিষয় নিষ্পত্তি করা হবে। তিনি বলেন, জাহাজগুলো ওডেসা বন্দর ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেগুলোতে খাদ্যশস্য ভরা হয়েছে। তবে সব পক্ষের মধ্যে ভালো লজিস্টিক সমন্বয় প্রয়োজন। তুরস্ক ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনায়ও রপ্তানি পুনরুদ্ধারের বিষয় স্থান পায় বলে তিনি জানান।

রপ্তানির আড়ালে অস্ত্র সরবরাহ ঠেকাতে ইস্তাম্বুলের সমন্বয় কেন্দ্র জাহাজগুলোর গতিবিধির ওপর নজরদারি করবে এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইউক্রেনের বন্দরে খাদ্যশস্য ভরা এবং তুর্কি বন্দরে পৌঁছানোর সময়ও জাহাজগুলো পরিদর্শন করা হবে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে শনিবার বলা হয়েছে, ওডেসা বন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে শস্যভর্তি ১৬টি জাহাজ। ইউক্রেনের ২ কোটি ৫০ লাখ টন শস্য আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাঠানো হবে। শস্য রপ্তানির প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার জেলেনস্কি ওডেসা অঞ্চলের চেরনোমরস্ক বন্দর পরিদর্শন করেছেন।