দুই নৈশপ্রহরীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক রাতে ২০টি দোকানে চুরি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ধামইরহাট উপজেলার নয়াপুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পত্নীতলা সার্কেল মো. আফতাব উদ্দিনসহ ওসি মোজাম্মেল হক কাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রাতে ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পিড়লডাঙ্গা নয়াপুকুর বাজারের প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন আব্বাসী আলী ও আব্দুর রহমান। তাঁরা বলেন, রাত আড়াইটার দিকে মুখোশ পরা ১০-১২ জন তাঁদের চেপে ধরে রশি দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চাতালের পাশে ফেলে রাখে। পরে ইলেকট্রনিকস, মুদি, কীটনাশক, সেলুনসহ ২০ দোকানের শাটারের তালা কেটে নগদ অর্থসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালপত্র ট্রাকে তুলে পালিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, বেলাল মাসুদ, রমজান আলী, মেহেদী হাসান, আরাফাত হোসেন, ডা. রফিকুল ইসলাম, জুয়েল হোসেন, মুনছুর রহমান, দেওয়ান লিয়ন, আজির উদ্দিন, শাহীন, সাখাওয়াত হোসেন, মিলন হোসেন, লিটু দেওয়ান, সাগর হোসেন, শহীদুল ইসলাম, দেওয়ান শাহীদ হোসেন, দেওয়ান মামুন রেজা, বাবু হোসেন ও মো. মানিক।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান ও শহীদুল ইসলাম বলেন, নৈশপ্রহরী ও পুলিশের টহল থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বাজারের এতগুলা দোকানে চুরি হলো তা বোধগম্য নয়। তাঁরা চোরাই মালপত্র উদ্ধারসহ দ্রুত এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি নিয়ে নৈশপ্রহরী ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে নৈশপ্রহরীদর ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।