গাজীপুরের শ্রীপুরে সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে লাঞ্চিত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে রাখে। পরে থানা পুলিশের অন্য সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনেন। 

জানা যায়, কেওয়া পূর্ব খণ্ডের গারো পাড়া এলাকার শাফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালামকে গেপ্তার করতে থানার এসআই মামুনুর রশিদসহ দুই পুলিশ সদস্য সাদা পোশাতে ওই এলাকায় যান। তার বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে আবুল কালামকে জানানো হয়। এদিকে কালামের পরিবারের দাবি, তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। 

আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, সন্ধ্যার পর তার স্বামী বাড়ির বাইরে যান। এসময় সাদা পোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। কালামকে পুলিশ সদস্যরা মারপিট করতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশ সদস্যদেরকে একটি সেলুনে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।

তবে কালামের স্ত্রীর দাবি, পুলিশকে কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেনি। বরং তারাই কালামকে ওই ঘরের ভেতর নিয়ে উলঙ্গ করে মারপিট করে।

এরপর খবর পেয়ে পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার এবং কালামকে আটক করে।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, কালামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না রয়েছে। তবে তিনি জামিনে থাকলেও থানায় রিকল জমা দেননি বলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়।

তিনি আরও জানান, এ সময় কালামের সঙ্গে এক বোতল ফেনসিডিল ছিল। রিকল দেখানোর পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ফেনসিডিল থাকার কারণে আটক করলে পুলিশকে লঞ্ছিত করে।