জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আলাদা শোকসভা করেছে।

এর মধ্যে পৌর মিলনায়তনে মেয়র কাদের মির্জার আয়োজিত শোকসভায় যাওয়ার পথে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর জেরে পরে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে যুবলীগের এক নেতাকে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সোহাগের নেতৃত্বে হাজারী বাসা এলাকা থেকে একটি মিছিল কলেজ রোডে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বাসার সামনে আসে। একই সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদার অনুসারীরা শান্তিরহাট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ওই স্থানে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এতে আহতরা হলেন- আলা উদ্দিন (২২), আবদুল মান্নান (২৬), এরফান হোসেন ডলার (৩১), ওমর ইবনে ফারুক রুবেল (৪০), আবুল কালাম ( ৪৫), চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী রাজু (৩৮), ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রাজুসহ (২৪) অন্তত ১৫ জন।

ইউপি চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সোহাগ বলেন, পৌর মিলনায়তনে শোকসভায় যাওয়ার পর একদল সন্ত্রাসী হাতুড়ি, লোহার শেকড় ও রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

নুরুলের অনুসারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুম্মন চৌধুরী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গেলে উভয় পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। তাদের দু'দিকে সরিয়ে দিয়ে শোকসভায় চলে যান। এরপর কি হয়েছে তাঁর জানা নেই।

সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষই পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী। এর জেরে বিকেলে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ঝন্টু হাজারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষ। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার শোক দিবসে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে পৌর মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন কাদের মির্জার ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি হাসান ইমাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের প্রমুখ।

অপরদিকে সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগ্নে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডাকবাংলো শহীদ বীর উত্তম নুরুল হক অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর তিন ভাগ্নে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন, আগের কেন্দ্র ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল প্রমুখ।