- সারাদেশ
- মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে দিঘি দখলের অভিযোগ
মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে দিঘি দখলের অভিযোগ
-samakal-62fd1aeee7cea.jpg)
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দিঘি দখলের অভিযোগ করেন খালেদ হোসেন মাহতাব - সমকাল
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী দিঘি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দিঘি দখলে সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করেছেন।
বুধবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নগরীর সৈয়দানী বাগের (সৈয়দ বাড়ি) বাসিন্দা আইনজীবী সৈয়দ খালেদ হোসেন মাহতাব। সিসিক মেয়র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থা থাকার পরও 'জনগণের পুকুর' দাবি করে দিঘি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে মেয়র মরিয়া বলেও অভিযোগ করেন সৈয়দ খালেদ। এ দিঘি তাঁদের মৌরসি সম্পত্তি দাবি করে তিনি বলেন, আমিনা খাতুনদের কাছ থেকে সৈয়দ আজিজুল হোসেনরা দিঘিটি ক্রয় করেছিলেন। আমিনা খাতুন মেয়র আরিফের মা। এ প্রসঙ্গে মেয়র আরিফ বলেন, সৈয়দানী বাগে আমার মায়ের নানাবাড়িতে সম্পত্তি আছে কিনা, তা কোনোদিন জানতে চাইনি। হকও দাবি করিনি। দখলের প্রশ্নই ওঠে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জলাধার আইনে দিঘিটি পরিস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন নগরীর তেররতন এলাকায় অনুষ্ঠানে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে দিঘির বেহাল দশা দেখান। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের নির্দেশে সিসিক দিঘিটি পরিস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। গত ৯ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত ৮০০ বছরের পুরোনো দিঘি উদ্ধারে যান সিসিকের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা ভর্তি দিঘি উদ্ধারে গেলে একটি পক্ষ বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় সিসিক পুকুর পরিস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ খালেদ বলেন, দিঘিটি তাঁদের মৌরসি সম্পত্তির অংশ। বংশ পরম্পরায় এটি ভোগদখল ও মৎস্য চাষ করে আসছেন। ৯ আগস্ট সকালে মেয়র আরিফুল হকের নির্দেশে সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুকুরে অবৈধভাবে কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে সম্পত্তির মালিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে সিসিকের পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার রশিদ বলেন, মেয়রের নির্দেশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ বখতিয়ার হোসেন, সৈয়দ আফজাল হোসেন, সৈয়দ রাহাদ হোসেন, সৈয়দ মাহিদ রহমান সাব্বির, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, সৈয়দ আতাউর হোসেন সাজুল, সৈয়দ ফজিলত হোসেন, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন