- সারাদেশ
- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার একই চিঠি উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও ডিন বরাবরও জমা দিয়েছেন তাঁরা। তবে অভিযোগের প্রভাব পরীক্ষার ফলাফলে পড়তে পারে বলে অভিযোগপত্রে কেউ নাম উল্লেখ করেননি। এদিকে অভিযোগপত্রে নাম না থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভাগীয় প্রধানের আচরণে আমরা অতিষ্ঠ। তাঁর এ ধরনের আচরণ থেকে মুক্তি পেতেই উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উনার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অভিযোগের সত্যতা জানতে ইংরেজি বিভাগের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, 'বিভাগীয় প্রধানের এমন আচরণে সহকর্মী হিসেবে আমরাও লজ্জিত এবং বিব্রত। তিনি শুধু শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই এ ধরনের আচরণ করেন তা নয়, প্রায়ই বিভাগের অন্য শিক্ষকদের ব্যাপারে মিথ্যাচার করেন। মতের অমিল হলে হেনস্তা করতেও ছাড়েন না।'
এ ছাড়া বিভাগেরই আরেক শিক্ষক অভিযোগ করেন, স্নাতকোত্তরে থিসিস পাওয়া শিক্ষার্থীরা বনানী বিশ্বাসের অধীনে কাজ না করায় অন্যান্য কোর্সে শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিভাগের ২ শতাংশ শিক্ষার্থীরও যদি আমার প্রতি অসন্তোষ থাকে, আমি সব ছেড়ে দেব। প্রতিটি মিডটার্মের পর আমি শিক্ষার্থীদের খাতা দেখাই। অন্য শিক্ষকদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা আমাকে অভিযোগ দেওয়ায় তাঁরা (শিক্ষকরা) আমার নামে মিথ্যাচার করছেন।'
এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈনকে খুদেবার্তা পাঠানো হলে তিনি জানান, তিনি একটি বেনামি চিঠি পেয়েছেন। কেউ যদি তাতে স্বাক্ষর করত কিংবা তাঁর সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দিত, তাহলে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিতেন।
মন্তব্য করুন