- সারাদেশ
- পুকুরে মিলল স্কুলছাত্রীর লাশ, প্রেমিক আটক
পুকুরে মিলল স্কুলছাত্রীর লাশ, প্রেমিক আটক

বায়জিদ সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশিকা জাহান শিফা নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তার প্রেমিক ও প্রাইভেট শিক্ষক বায়জিদ সরকারকে আটক করেছে।
বায়জিদ সরকার কসবা উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে। বায়জিদও মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়াশোনা করেন। বায়জিদ তিন বছর ধরে শিফাকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি শিফা বিয়ে করার জন্য বায়জিদকে চাপ দিচ্ছিল।
শিফার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে প্রাইভেট শিক্ষকের (বায়জিদ) বাসায় যাওয়ার কথা বলে শিফা বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। রোববার দুপুরে ওই পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা শিফার স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা সেখানে গিয়ে লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা অভিযোগ করেন, শিফাকে খুন করে লাশ পানিতে ফেলে দিয়েছেন বায়জিদ।
শিফার চাচা সবুজ মিয়া বলেন, শিফার খোঁজ না পেয়ে বায়জিদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। বায়জিদের কথায় তাঁদের সন্দেহ জাগে। বায়জিদ বারবার বলেন বোর্ডিং মাঠে যেতে। বায়জিদই হত্যা করে শিফাকে। শিফার সহপাঠী জিনিয়া আক্তার বলে, বেশ কয়েকদিন ধরে শিফা অন্যমনস্ক ছিল। কারও কাছে কিছু বলত না। মারিয়া আক্তার নামে আরেক সহপাঠী বলে, শিফা বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল।
পুলিশের হাতে আটক বায়জিদ সরকার বলেন, শিফার সঙ্গে তাঁর তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কয়েকদিন আগে শিফার পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় দু'জনকে দেখে ফেলেন। এ নিয়ে শিফা বলছিল, সে কলঙ্কিত হয়ে গেছে। এরপর থেকেই শিফা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে শিফা তাঁকে ফোন করে বিয়ের কথা বলে। তখন তাকে বলেছি, এই মুহূর্তে বিয়ে করা সম্ভব না। তখন সে বলে, বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বায়জিদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মন্তব্য করুন