- সারাদেশ
- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের চক্রান্ত ছিল: হানিফ
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের চক্রান্ত ছিল: হানিফ

ছবি: সমকাল
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের চক্রান্ত ছিল। বিএনপি গুম-খুনের কথা বলে এখন নিজেরাই দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করছে। দেশের উন্নয়নের ধারা স্তব্ধ করতে চাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুনরায় গঠন শুরু হয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বেড়েছে। শতভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসস্পূর্ণ হয়েছে।’
শুক্রবার বিকেলে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির হাওয়া ভবনের প্রসঙ্গ টেনে মাহবুব আলম হানিফ বলেন, ‘তারেক রহমানের সৃষ্টি হাওয়া ভবন। সে নিজেই একজন সন্ত্রাসী। বিদেশে পালিয়ে আছে। হাওয়া ভবনকে কমিশন দেওয়া ছাড়া কোনো কাজ হতো না। তারেক বিদ্যুতায়নের নামে খাম্বা দুর্নীতি করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিএনপি সমাবেশ করে নিখোঁজ ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের সামনে কান্না করে চোখের জল ফেলেছে। তাদের বলেছি গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা দিতে, কিন্তু তিনি (ফখরুল) তালিকা দেননি।’
হানিফ বলেন, ‘২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তখন কোথায় ছিল তাদের (বিএনপি) মানবিকতা।’
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। দেশের অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী। করোনা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে সাফল্য দেখিয়েছে তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।’ এ সময় তিনি বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার। সম্মেলন উদ্বোধন করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন মুন্সী, শেখ আবদুল আউয়াল।
সম্মেলনে একেএম সফিউদ্দিন কে সভাপতি, একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টারকে সিনিয়র সহসভাপতি, মোস্তফা কামাল চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ুন কবির ও এজাজ মাহমুদকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আবদুল মতিন সরকারকে সিনিয়র সদস্য করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন