- সারাদেশ
- খুলনায় ৩৯ সড়ক সংস্কার বন্ধ রাখায় দুর্ভোগ
খুলনায় ৩৯ সড়ক সংস্কার বন্ধ রাখায় দুর্ভোগ

খুলনা নগরীতে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে ওয়াসা। স্যুয়ারেজ প্রকল্পের আওতায় মোট ২৬৯ কিলোমিটার সড়ক খুঁড়ে বসানো হবে পাইপ। নগরীর বাড়িগুলো থেকে মানববর্জ্য পাইপলাইনের মাধ্যমে নিয়ে পরিশোধন করা হবে। ওয়াসার এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরীর ৩৯টি সড়ক সংস্কার কাজ মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ও সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ রাখায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় 'খুলনা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন' প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ওয়াসা। প্রকল্প ব্যয় ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার মধ্যে এডিবি দিচ্ছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা এবং বাকি ৯২৯ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। গত ২২ জুন থেকে নগরীর শেখপাড়া বাজার ও নগরীর ছোট মির্জাপুর এলাকার তিনটি সড়ক খুঁড়ে বসানো হচ্ছে ১০ থেকে ৪০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ।
প্রকল্পের আওতায় খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠিকরাবন্দ এলাকায় একটি এবং লবণচরা এলাকায় রূপসা নদীর পাশে আরেকটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, আটটি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন এবং ২৬৯ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন আকারের স্যুয়ারেজ পাইপলাইন বসানো হবে। এই প্রকল্পের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়ির মানববর্জ্য পরিশোধন করা হবে। বর্তমানে অনেক বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পয়োবর্জ্য পার্শ্ববর্তী ড্রেন, জলাশয় ও নদীতে নির্গত হওয়ায় পরিবেশ দূষণ ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি জানান, পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলা হবে এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করবে খুলনা সিটি করপোরেশন। এ জন্য তারাও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
যেসব এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে সেখানে লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগের বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রকল্পটি নগরবাসীর সুবিধার জন্যই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়ির সময় চলাচলের দুর্ভোগ জনগণকে মেনে নিতে হবে।
অন্যদিকে, ওয়াসার এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ৩৯টি সড়ক সংস্কার কাজ সম্প্রতি মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে কেসিসি। নগরীর শামসুর রহমান রোড, বেণী বাবু রোড, সিমেট্রি রোড, শেখপাড়া ক্রস রোড, গোবরচাকা ক্রস রোডসহ বেশ কিছু সড়ক সংস্কার কাজ শুধু কার্পেটিং বাকি থাকা অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সড়কগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক খুঁড়ে ইটের খোয়া দেওয়ার পর রোলার দিয়ে সমান করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কগুলো কিছুটা এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে। বৃষ্টিহীন সড়কে ধুলাবালি উড়ছে। এর ফলে চলাচলে লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু সড়ক পুরোপুরি সংস্কার হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করবে। এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে। তিনি বলেন, কিছু সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করে ফেলে রাখায় নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়ি ও সড়ক সংস্কার কাজে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা খুবই জরুরি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর যদি সেই সড়ক ওয়াসা খোঁড়ে তাহলে অর্থের অপচয় হবে। ওয়াসা প্রথম পর্যায়ে যে ৩৯টি সড়কের তালিকা দিয়েছে সেগুলো ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি সম্পন্ন হওয়ার পর সংস্কার করা হবে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় 'খুলনা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন' প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ওয়াসা। প্রকল্প ব্যয় ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার মধ্যে এডিবি দিচ্ছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা এবং বাকি ৯২৯ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। গত ২২ জুন থেকে নগরীর শেখপাড়া বাজার ও নগরীর ছোট মির্জাপুর এলাকার তিনটি সড়ক খুঁড়ে বসানো হচ্ছে ১০ থেকে ৪০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ।
প্রকল্পের আওতায় খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠিকরাবন্দ এলাকায় একটি এবং লবণচরা এলাকায় রূপসা নদীর পাশে আরেকটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, আটটি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন এবং ২৬৯ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন আকারের স্যুয়ারেজ পাইপলাইন বসানো হবে। এই প্রকল্পের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়ির মানববর্জ্য পরিশোধন করা হবে। বর্তমানে অনেক বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পয়োবর্জ্য পার্শ্ববর্তী ড্রেন, জলাশয় ও নদীতে নির্গত হওয়ায় পরিবেশ দূষণ ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি জানান, পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলা হবে এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করবে খুলনা সিটি করপোরেশন। এ জন্য তারাও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
যেসব এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে সেখানে লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগের বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রকল্পটি নগরবাসীর সুবিধার জন্যই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়ির সময় চলাচলের দুর্ভোগ জনগণকে মেনে নিতে হবে।
অন্যদিকে, ওয়াসার এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ৩৯টি সড়ক সংস্কার কাজ সম্প্রতি মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে কেসিসি। নগরীর শামসুর রহমান রোড, বেণী বাবু রোড, সিমেট্রি রোড, শেখপাড়া ক্রস রোড, গোবরচাকা ক্রস রোডসহ বেশ কিছু সড়ক সংস্কার কাজ শুধু কার্পেটিং বাকি থাকা অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সড়কগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক খুঁড়ে ইটের খোয়া দেওয়ার পর রোলার দিয়ে সমান করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কগুলো কিছুটা এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে। বৃষ্টিহীন সড়কে ধুলাবালি উড়ছে। এর ফলে চলাচলে লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু সড়ক পুরোপুরি সংস্কার হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করবে। এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে। তিনি বলেন, কিছু সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করে ফেলে রাখায় নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়ি ও সড়ক সংস্কার কাজে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা খুবই জরুরি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর যদি সেই সড়ক ওয়াসা খোঁড়ে তাহলে অর্থের অপচয় হবে। ওয়াসা প্রথম পর্যায়ে যে ৩৯টি সড়কের তালিকা দিয়েছে সেগুলো ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি সম্পন্ন হওয়ার পর সংস্কার করা হবে।
মন্তব্য করুন