পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শামসুদ্দিন আহমেদের ভূমিকা নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাদের খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতারা। গতকাল শুক্রবার ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা কাদের খানের বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে অভিহিত করেন। তার বিচারও দাবি করেন।
তারা জানান, শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কাদের খান তার বক্তব্যে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি ওই দিন জানান, চাচা শামসুদ্দিন আহমেদ ১৫ আগস্ট রাতে হোটেলে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে তিনি তোফায়েল আহমেদ কী করছেন দেখতে যান। রিকশাচালক সেজে তিনি তোফায়েল আহমেদের ঢাকার বাড়িতে যান। গেটে গিয়ে শুনতে পান রক্ষী বাহিনী তোফায়েল আহমেদকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেছে। ১৫ আগস্টের আগের দিন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন বলেও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দোস্ত মাহমুদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাতে শামসুদ্দিন আহমেদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের ঢাকার বাড়িতে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা ও হত্যার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন তোফায়েল আহমেদ। প্রতিরোধ গড়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ফোন করছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাদের খান ভোলা কলেজের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িতও ছিলেন না। ৭৬ বা ৭৭ সালের দিকে তিনি ঢাকায় যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগের দিন তিনি কী করে আট থেকে ১০ হাজার ছাত্রের মধ্যে ব্যাজ ও লিফলেট বিতরণ করেন?