পিরোজপুরে বেকুটিয়া ফেরীঘাটের কুমিরমারা প্রান্তে পন্টুন থেকে পড়ে নিখোঁজ শুল্ক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন কাফির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার গাজিপুর এলাকা থেকে কঁচা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিন দুপুরে স্থানীয় লোকজন নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে নদী থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর আবদুল্লাহ বিন কাফির স্বজনরা তাকে শনাক্ত করেন।

আবদুল্লাহ বিন কাফি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ রেঞ্জের ভোমড়া স্থলবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার উপজেলার দেওলা গ্রামে।

সদর উপজেলার শারকিতলা-ডুমুরিতলা ইউনিয়নের মেম্বার মো. ওমর হোসেন জানান, শনিবার দুপুরের দিকে গাজিপুর এলাকার বাসিন্দারা নদীতে একটি লাশ বাসতে দেখে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধারের পর নিহতের স্বজনরা তাকে শনাক্ত করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পিরোজপুরের বেকুটিয়া ফেরিঘাটের পিরোজপুরের কুমিরমারা প্রান্তে পল্টুন থেকে কঁচা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন শুল্ক কর্মকর্তা কাফি। স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে জন্মদিন পালন করতে সাতক্ষীরা থেকে নিজ প্রাইভেটকারে করে বরিশাল যাচ্ছিলেন তিনি।

জানা যায়, রাত ৯টার দিকে ফেরিতে উঠে গাড়ি রেখে চালক টয়লেটে যান।  কাফিও গাড়ি থেকে নেমে পন্টুনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।