ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত দশটি মোটরসাইকেল ও বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানা গেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে একই দিনে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দৌপ্রদী আগারওয়ালা সমকালকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত থানা মহিলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। আমাদের প্রোগ্রাম শুরু না হতেই আমাদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা করে বিএনপির কর্মীরা। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আওয়ামী লীগের পাচঁটি মোটরসাইকেল আগুনে জ্বালিয়ে দেয় বিএনপির কর্মীরা।’

রুহিয়া বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করার পর- সমকাল

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। গত ৩০ আগষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয় আমাদের প্রোগ্রামটি। তবে ওই দিন প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। তারপর শনিবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা প্রোগ্রাম করি। আমাদের প্রোগ্রাম নষ্ট করার জন্য একই দিনে মহিলা আওয়ামী লীগ কর্মসূচির ডাক দেয়। প্রশাসন আমাদের দুপুর দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সময় দেয়।’ তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রামে আসার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর রুহিয়া থানা বিএনপির অফিস ভাঙচুরসহ অফিসের সামনে অগ্নিসংযোগ করে তারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫-২০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় আমাদের পাঁচটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘দু'টি দল একই সময় সভা ডেকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু'টি দলকে দুই সময়ের কথা বলা হয়েছিল। তারপরও কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’