ইজিবাইকজটে নাজেহাল খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মোড়। এ পরিস্থিতিতে আরও ১ হাজার ৭৯২টি পণ্যবাহী ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। 

রোববার সকাল ৮টা থেকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে সিটি করপোরেশনের আয় হবে প্রায় ২ কোটি টাকা।

মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ, এমনকি এসবের নিবন্ধনও দেয়নি সরকার। অবশ্য সিটি করপোরেশন বলছে, নগরীতে অনিবন্ধিত ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কেসিসি সূত্র জানায়, ২০২০ সালে প্রথমবার যাত্রীবাহী ৭ হাজার ৮৯৭টি ইজিবাইককে চলাচলের অনুমতি দেয় কেসিসি। এবারের নতুন সংখ্যা মিলিয়ে 'লাইসেন্স'ধারী ইজিবাইকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯ হাজার ৬৮৯টি।

কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুক তালুকদার জানান, স্বল্প খরচে পণ্য বহনযোগ্য হওয়ায় নগরীতে দিন দিন পণ্যবাহী ইজিবাইকের সংখ্যা বাড়ছে। মাত্রাতিরিক্ত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে পণ্যবাহী ইজিবাইককে লাইসেন্স দেওয়া হবে। সিটি মেয়র এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

এদিকে নিরাপদ সড়ক চাই-এর মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মুন্না বলেন, নগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ ইজিবাইক। এর চালকদের কারোরই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি জানানো হলেও কেসিসির সেদিকে গুরুত্ব নেই। তবে কেসিসি বলছে, চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।

সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখা থেকে জানা যায়, রোববার ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড, সোমবার ৭ থেকে ১৬, মঙ্গলবার ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর, বুধবার ২০, ২১ ও ২২, বৃহস্পতিবার ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর, ১১ সেপ্টেম্বর ২৬ থেকে ২৯ নম্বর, ১২ সেপ্টেম্বর ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৩ সেপ্টেম্বর বিশেষ তালিকা ও বাদ পড়া ইজিবাইকের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, ১০ হাজার টাকার পে-অর্ডারের মূল কপিসহ ইজিবাইক নিয়ে হাদিস পার্কে উপস্থিত থাকতে বলেছে কেসিসি।