১৮ বছরের পুরোনো ঋণখেলাপি মামলায় ১৩ বছর আগে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় অবশেষে আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় মহিউদ্দিন মারুফ নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি বাকলিয়া থানার চাকতাই এলাকার বাদশা মিয়া চৌধুরী বাড়ির হাজী দিল মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি মেসার্স কদর সিন্ডিকেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ফরেন এক্সচেঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় ২০০৪ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, পুরোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করা শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে মহিউদ্দিন মারুফ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠাই।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে অর্থঋণ মামলা দায়েরের পর ২০০৫ সালে ডিক্রি হয়। ডিক্রি করা টাকা নির্দেশিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্যাংক অর্থ জারি মামলা করে। টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৮ সালে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফ এবং রাশেদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এক আদেশে উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ওই ঋণখেলাপিরা গ্রেপ্তার না হওয়া সত্ত্বেও জনতা ব্যাংক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঋণখেলাপিদের সর্বশেষ আবাসিক ঠিকানা দাখিল করার জন্য ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা দাখিল করতে না পারলে মামলাটি খারিজ হবে মর্মেও নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর টনক নড়ে ব্যাংকের।

দুই ঋণখেলাপি মহিউদ্দিন মারুফ ও রাশেদ উদ্দিন চৌধুরীর হালনাগাদ ঠিকানাসহ দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়ার আবেদন করে ব্যাংক। তার ওপর শুনানি শেষে অর্থঋণ আদালত দুই ব্যবসায়ীকে ৫ মাসের সাজা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য র্যা ব ৭-কে নির্দেশ দেন।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাংকের বর্তমান পাওনা ১০ কোটি টাকার বেশি। তাঁর ও তাঁদের স্বার্থসংশ্নিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে বেশ কয়েকটি অর্থঋণ মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি।