কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়ার শামলাপুর শীলখালী চেকপোস্টে মাদক তল্লাশির নামে আবদুল্লাহ (৩৫) নামে এক প্রবাসীকে মারধরের ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বুধবার বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, চেকপোস্টে একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে বিজিবির তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর শীলখালী চেকপোস্টে মাদক তল্লাশির নামে আবদুল্লাহকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ টেকনাফ পৌরসভার কায়ুখালী পাড়ার মৃত শফিউজ্জামানের ছেলে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।  

এ বিষয়ে আবদুল্লাহ বলেন, কিছুদিন আগে মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসি। আমার সংসারে দুজন স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী টেকনাফে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী কুমিল্লায় থাকে। কুমিল্লা থেকে টেকনাফে এসেছিলাম মায়ের কবর জিয়ারত করতে। কবর জিয়ারত শেষে প্রথম স্ত্রীর থেকে বিদায় নিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে বিজিবির একজন সদস্য আমার দেহ তল্লাশি করে। কিছু না পেয়ে একটি গোপন কক্ষে নিয়ে আমাকে উলঙ্গ করে তল্লাশি করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরা কিছু না পেয়েও আমাকে ব্যাপক মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ মারধরের পর একটি খালি জায়গায় নিয়ে বল প্রয়োগ করে আমাকে মলত্যাগ করান। এতেও ইয়াবা না পেয়ে দুজন বিজিবি সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আবার মারধর করে। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এর কিছুক্ষণ পর মুমূর্ষু অবস্থায় আমাকে একটা গাড়িতে তুলে দেন। ওই গাড়ি আমাকে বাস টার্মিনালে ফেলে দিয়ে চলে যায়।