- সারাদেশ
- অস্ত্রোপচারের সময় মূত্রনালি কেটে ফেলার অভিযোগ
অস্ত্রোপচারের সময় মূত্রনালি কেটে ফেলার অভিযোগ

পুঠিয়ার ফাতেমা ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারে বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সময় এক নারীর মূত্রনালি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মেরিনা আকতার নওগাঁ মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। এ ঘটনায় ডা. মেরিনা, ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তাসিব আলী।
পুঠিয়ার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাসিব আলী ঘটনার বর্ণনায় জানান, গত ১০ আগস্ট প্রসব ব্যথা নিয়ে তার স্ত্রী আসমা বেগম (২৫) পুঠিয়া সদরের ফাতেমা ক্লিনিকে যান। সেখানে থাকা ডা. মেরিনা আকতার ও ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডল তাঁদের জানান, বাচ্চার পজিশন ভালো নেই, জরুরিভাবে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তাঁদের পরামর্শে ওই দিন সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করেন ডা. মেরিনা। তারপর থেকেই আসমার প্রস্রাব ঝরতে থাকে। চিকিৎসক তাঁদের জানান, এটা কিছু দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক হচ্ছিল না। রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। ক্লিনিক মালিক রুবেলকে জানালে তিনি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে চিকিৎসকরা জানান, মূত্রনালি কেটে ফেলা হয়েছে। দুই মাস পর আবারও অপারেশন করতে হবে বলে চিকিৎসকরা সময় দিয়েছেন।
তাসিব আলী আরও জানান, গত রোববার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মেরিনা আকতার দাবি করেন, অস্ত্রোপচারের সময় ওই নারীর মূত্রনালি কেটেছে- এটা মিথ্যা কথা। বাচ্চার পজিশন খুবই খারাপ ছিল। সে সময় জখম হতে পারে।
ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডলও দাবি করেন, ডাক্তারের হাতে মূত্রনালি কাটা পড়েনি। এটা বাচ্চার পজিশনের কারণে হতে পারে। এখানে ডাক্তারের কোনো দোষ নেই।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল বারী বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। চিকিৎসক বলছেন, তিনি মূত্রনালি কাটেননি। এই মামলা থানায় হবে না। ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করতে হবে।
মন্তব্য করুন