ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। পরে মৃত ভেবে তাঁকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে রেখে যায় তারা।

এ ঘটনায় আহত বশির হাওলাদারের (৫৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক কামাল হোসেন। তিনি জানান, রাত ৪টার দিকে বশিরকে মুমূর্ষু অবস্থায় পান তাঁরা। তাঁর হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। চিকিৎসা চলছে।

বশিরের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, রাতে তাঁর স্বামী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতাল থেকে এক নারী মোবাইল ফোনে কল করে জানান, তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে মারধরের পর হাসপাতালে ফেলে রেখে যাওয়ার কথা জানতে পারেন।

আহত বশির বলেন, রাতে আমি ঘর থেকে বের হলে আমাকে স্থানীয় রেজাউল মাতুব্বরের ছেলে শাহিন মাতুব্বর ও সাদ্দামসহ ৬ থেকে ৭ জন মুখ চেপে ধরে পাশের মাঠে নিয়ে যায়। এরপর শাহিন আমাকে রড দিয়ে মারধর এবং ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে তারা ফোন করে আব্দুল মজিদ ব্যাপারীর ছেলে শাহাবুদ্দিনকে ডেকে আনে। শাহিন ওই সময় বলে, ও মরে গেছে, এখন কী করবি? চল পালাই। তখন শাহাবুদ্দিন বলে, না ওরে হাসপাতালে দিয়ে আসি। এরপর আমার জ্ঞান ছিল না।

বশিরের ছেলে রাশেদ হাওলাদার জানান, তাঁর ভগ্নিপতি আনু মাতুব্বরের সঙ্গে প্রতিবেশী ছবেদ আলী ও রেজাউল মাতুব্বরের জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত রোববার কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে গত রাতে রেজাউল মাতুব্বরের ছেলে শাহিন, সাদ্দাম, শাহাবুদ্দিন ও ছবেদ আলী মিলে তাঁর বাবাকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আহত বশিরের পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।