- সারাদেশ
- কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৯ জন: পিবিআই
কুমিল্লায় যুবলীগ কর্মী হত্যা
কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৯ জন: পিবিআই

যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় আরমান হোসেন
কুমিল্লার পুরোনো চৌয়ারা বাজার এলাকায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানী হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক ও চৌয়ারা গরুর বাজারের ইজারা নিয়ে বিরোধ। হত্যার আগে হত্যাকারীরা এলাকার একটি আস্তানায় একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছে। হত্যার প্রায় দুই বছর পর কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আরমান হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রীমার আদালতে জবানবন্দিতে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে আরমান। এ কিলিং মিশনে জড়িত আরও ৮ জনের নাম এবং পরিকল্পনাকারীদের নামও প্রকাশ করেছে সে।
মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ হত্যার ঘটনায় আরমানকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করলেও তা স্বীকার করেনি বিশেষ এ সংস্থাটি।
পিবিআই জানায়, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা গরুর বাজার ছাড়াও রাজনৈতিক কারণে ২০১৫ সালে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী জিলানীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আসামি আরমান ওই গরুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ডিউটিম্যান হিসেবে নিয়োজিত ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আরমান জানিয়েছে, জিলানীকে হত্যার আগে সেসহ হত্যায় অংশ নেওয়া অন্যরা স্থানীয় এলাকার একটি গোপন আস্তানায় একাধিকবার বৈঠক করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে পুরোনো চৌয়ারা বাজারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরমানসহ হত্যাকারীরা জিলানীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
পিবিআইর জিজ্ঞাসাবাদে আরমান আরও জানায়, কিলিং মিশনে সরাসরি সেসহ ৯ জন অংশ নিলেও ঘটনাস্থলের আশপাশে পরিকল্পনাকারী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের অনেকে অবস্থান করছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-কুমিল্লার পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, গ্রেপ্তার আরমান এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি সে এলাকায় আসে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুবলীগকর্মী জিলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে সময় নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসাইন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
মন্তব্য করুন