- সারাদেশ
- ফের যাত্রী 'জিম্মির' রোটেশন প্রথা চালু
ঢাকা-বরিশাল নৌপথ
ফের যাত্রী 'জিম্মির' রোটেশন প্রথা চালু

ছবি: ফাইল
লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে আবারও 'যাত্রী জিম্মির' রোটেশন প্রথা চালু করেছেন লঞ্চমালিকরা। গত মঙ্গলবার ঢাকায় লঞ্চের মালিকরা সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেন এবং শনিবার থেকেই প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ বিপরীত গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী পরিবহন করছে।
তবে দাপ্তরিকভাবে এখনও সিদ্ধান্তের বিষয় জানেন না বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরিশালের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। সমকালকে তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ঢাকা ও বরিশাল- উভয় প্রান্ত থেকে সাতটি লঞ্চ চলত। শনিবার থেকে তিনটি চলছে। লঞ্চ কমানোর বিষয়টি মালিকরা আমাকে জানাননি। যাত্রী স্বার্থে আমরা সব সময় রোটেশন প্রথার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার যাত্রী নৌপথে ঢাকা গেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০ যাত্রী বরিশাল থেকে গেছেন। রোটেশনে তিনটি লঞ্চ চললে প্রতিটির গড় যাত্রী হবে ৬০০।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, দিনে গড়ে ১ হাজার ৮০০ যাত্রী বর্তমান সময়ে যথেষ্ট। এই সংখ্যক যাত্রীর জন্য প্রতিদিন অন্তত চারটি লঞ্চ চালানো সম্ভব। তাহলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু মালিকরা কী উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি ও সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, বেঁচে থাকার জন্যই তাঁরা রোটেশন প্রথা চালু করেছেন। শনিবার তিনটি লঞ্চের ৩০ ভাগ কেবিন খালি ছিল। এখন তিনটি লঞ্চে গড়ে ১ হাজার ৬০০ যাত্রী হয়। এই যাত্রী দিয়ে তিনটি লঞ্চের সার্ভিসও টিকিয়ে রাখা কষ্টকর।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, লঞ্চমালিকরা কখনও লাভের মুখ দেখেছেন বলে শুনিনি। জীবনভর মুখে লোকসান লোকসান বলেন আর প্রতি বছর নতুন নতুন লঞ্চ নামান। আন্দোলন ও আইনি লড়াই করে বছর দশেক আগে যাত্রী জিম্মির রোটেশন প্রথা বাতিল করতে মালিকদের বাধ্য করা হয়েছিল। এখন আবার তাঁরা গায়ের জোরে যাত্রীদের জিম্মি করলেন।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল শাখার সভাপতি হাশেম মাস্টার বলেন, যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও লঞ্চে সেবা বাড়েনি। এখন রোটেশন প্রথায় যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। মালিকদের উচিত ছিল ডেকের ভাড়া ৪০০ টাকার বদলে ৩০০ করা এবং অন্তত পাঁচটি লঞ্চ চালু রাখা। তাহলে এ পথে যাত্রী বৃদ্ধি পেত।
মন্তব্য করুন