- সারাদেশ
- বন্দুকযুদ্ধের পর দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
বন্দুকযুদ্ধের পর দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ২১টি করে মামলা

মহানগরের কাশিমপুরের তেঁতুইবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হাতে পিস্তল, চাপাতি কিংবা দেশীয় নানা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিনদুপুরে ডাকাতি করত ওরা। কখনও লোকজনকে জিম্মি করে অর্থ লুট, কখনও ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডাকাতি করত। গাজীপুরে দুর্ধর্ষ সেই ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে বন্দুকযুদ্ধের পর গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২১টি করে মামলা রয়েছে। সহোদরসহ এ ডাকাতদের সোমবার রাতে মহানগরের কাশিমপুরের তেঁতুইবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, কাশিমপুরের এনায়েতপুরে গত ১৬ আগস্ট দুপুরে একদল ডাকাত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় এসে ককটেল বিস্ম্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের ডিএসএম শাহেদ শরীফকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা লুট করে তারা। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ ডাকাত দলের সদস্য ইউসুফ আলী রানা ও বিধান হালদারকে তেঁতুইবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, রাতেই কাশিমপুর থানার লোহাকৈরে খেলার মাঠে ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হবে। গভীররাতে পুলিশ ওই খেলার মাঠের পাশের দোকানগুলোয় অবস্থান নেয়। নির্ধারিত সময়েই ডাকাত দল মাঠে প্রবেশ করলে পুলিশ চারপাশ থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা বিস্ম্ফোরণ ঘটিয়ে ধোয়ার সৃষ্টি করে।
মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ডাকাত সদস্য সোলাইমান আকন। বিস্ম্ফোরণে পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আহত হন। এ সময় ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার জানান, ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ১২টি অবিস্ম্ফোরিত ককটেল, তিনটি চাপাতি, দুটি মোটরসাইকেল, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলির খালি খোসা ও সাত রাউন্ড কার্তুজের খোসা। গ্রেপ্তার অন্যরা হলো- আনোয়ার হোসেন, রুবেল, বাবুল বেপারী, জাকির হোসেন, সোলাইমান আকন এবং সহোদর সাগর বাড়ৈ ও মৃদুল বাড়ৈ।
মহানগর পুলিশ জানায়, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৭টি করে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কাশিমপুর থানায় বিভিন্ন ধারায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন