গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি বাসা থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান। 

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের মধ্য পানজোরা গ্রামের আরমান কাজীর বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের সঠিক পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাড়ির মালিক আরমান কাজী ও এক নারীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নাগরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মুজিবুর রহমান বলেন, নাগরী ইউনিয়নের মধ্য পানজোরা গ্রামের আরমান কাজীর বাড়িতে ভাই-বোন পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় ৫ মাস ধরে বসবাস করে আসছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পঞ্চাশোর্ধ নারী-পুরুষ। ওই বাড়ির তৃতীয় তলার উত্তর পাশে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আলাদা আলাদা কক্ষে বসবাস করত তারা। দিনের বেশিভাগ সময়ে বাসার মধ্যেই অবস্থান করত তারা।

তিনি আরও বলেন, ওই ভবনের অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বাড়ির মালিককে জানায় গত দুইদিন ধরে তৃতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ আছে। পরে বাড়ির মালিক আরমান কাজী বুধবার দুপুরে বিষয়টি আমাকে মুঠোফোনে জানান। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি অবগত করি। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মধুসূদন পান্ডে বিকেলে ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ওই বাসার দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়।

ঘরে প্রবেশ করে তারা মেঝের মাঝখানে অগ্নিদগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। লাশের পাশেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে চুলায় থাকা সংযোগ লাইনের পাইপ আগুনে পোড়া ছিল। পাশের কক্ষে তল্লাসি চালিয়ে একটি নারীর পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পরে ওই নারী জানান নিহত ব্যক্তি রাজধানীর তেজগাঁও ফার্মগেট এলাকার বাসিন্দা।

মুজিবুর রহমান বলেন, তবে ওই নারী নিহত ব্যক্তিকে চিনেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। ওই নারীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় কোনো কিছু বুঝা যায়নি। বরং তিনি জানান, তারা এক সঙ্গে নয়, একই ফ্ল্যাটের আলাদা কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।