- সারাদেশ
- হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে...
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে...

জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়সের পর থাবা বসাতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থাকলে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা এতটাই অসচেতন যে, একটা বয়সের পর আমাদের বেশিরভাগের মধ্যেই হৃদরোগজনিত কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ- এগুলোও কিন্তু হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
খাবারে বদল আনুন
মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, এর সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খান। এসব খাবার কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। খাদ্য তালিকায় ওটমিল, ব্রাউন রাইস, বিনস, মসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন।
শরীরচর্চা করুন
ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এসব থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর সঙ্গে হাঁটাহাঁটিও করা জরুরি। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার সময় না পেলে সকাল, দুপুর ও রাত মিলিয়ে আধাঘণ্টা হাঁটুন। তবে প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে। হাঁটার সময় হাতে পরে নিন ফিটনেস ট্র্যাকার, কতটা হাঁটছেন কিংবা কত ক্যালরি ঝরাচ্ছেন, দেখা যাবে সেখানেই।
ভালো করে ঘুমান
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হার্ট ফেইল করার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালোমতো হয় না। কাজেই শরীর তখন স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
মানসিক উদ্বেগ কমান
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে নানা বিষয় নিয়েই আমরা অত্যধিক চাপে থাকি। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়েই, সেসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি দেখা দেয়। সে জন্য কোনো ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনোসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে সেগুলোও চাপমুক্ত করতে সহায়তা করে।
ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ূন
সিনেমা হলে বারবার এই সতর্কবার্তা দেখেও আমরা অনেকেই বিষয়টি কর্ণপাত করি না। অথচ ধূমপান করলে হৃদযন্ত্রের ধমনিসংলগ্ন কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি রক্ত জমাট বেঁধে যায়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে বাড়ে হৃদস্পন্দনও। তাই হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। া
মন্তব্য করুন