এবার জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা পেলেন সাবিনা, দেওয়া হলো ১ লাখ টাকা

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও তাঁর মা মমতাজ বেগমকে সংবর্ধনা দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সাবিনার হাতে নগদ ১ লাখ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

অনুষ্ঠানে সাবিনা বলেন, তিনি আপ্লুত, আন্দোলিত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে মহাখুশি। ফুটবল মাঠের এক যুগের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এত সহজ ছিল না। নানা সমালোচনা সহ্য করে নারীদের এ জায়গা তৈরি করতে হয়েছে। ফুটবল খেলা শুরুর প্রথম দিকে পরিবারের সমর্থন থাকলেও পাড়া-প্রতিবেশীরা মেনে নেননি। নানা সমালোচনা করেছেন।

সাবিনা বলেন, সাতক্ষীরার পিটিআই মাঠে যখন অনুশীলন করতে যেতাম, তখন নানা কথা শুনতে হতো। আজ সেসব সমালোচনা জয় করতে পেরেছি। ফুটবলকে দেশের মানুষ যে এত ভালোবাসে, তা বুঝতে পারিনি।

জেলা প্রশাসকের কাছে সাবিনা সাতক্ষীরা জজকোর্ট সংলগ্ন মেইন সড়ক থেকে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ এবং বোনের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। জেলা প্রশাসক সাবিনার দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।

এর আগে শুক্রবার ভোরে সাবিনা তাঁর সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সবুজবাগের বাড়িতে পৌঁছান। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে সুসজ্জিত ছাদ খোলা গাড়িতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতারা প্রথমে সার্কিট হাউসে নিয়ে যান। পরে ওই গাড়িতে পুরো শহর ঘোরানো হয়।

জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, সাবিনা ও মাসুরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আর তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব আমাদের। তিনি বলেন, সাফজয়ী ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন এখনও সাতক্ষীরার মাটিতে পা রাখেননি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক বলেন, সাবিনা ও মাসুরা সাতক্ষীরার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁরা দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। নারী খেলোয়াড়দের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।