চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে কোনো নোটিশ ছাড়াই চিকিৎসক, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, নার্সসহ ১১৯ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে তাঁদের নিয়োগ দিয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন ঘোষণা ছাড়াই তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

করোনা রোগীদের সেবা দিতে ২০২০ সালের ১৮ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ১৫৯ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্প্রে ম্যান, কুক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (প্যাথলজি), ওয়ার্ড বয়, আয়া, করোনার নমুনা সংগ্রহকারী, সহকারী কুক, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় তাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওয়ার্ড বয় আনিসুল হক জানান, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছি। সোমবার থেকে আমাদের অব্যাহতি পত্র দেওয়া শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সরকার করোনা ওয়ার্ড বন্ধ করায় এমনটা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অথচ সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, বন্দরে এখনও অনেক শূন্য পদ রয়েছে। শূন্য পদে আমাদের বহাল রাখা হোক- এটাই আমাদের দাবি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় আমরা তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছি। তাঁদের নিয়োগের সময় বলা ছিল এটা অস্থায়ী নিয়োগ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সামলানোর মতো লোকবল আমাদের রয়েছে।