কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন বিভাগের জব্দ করা বালু ইউএনওর উদ্যোগে নিলামে বিক্রির সব কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে দুই সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৩ সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)। মঙ্গলবার এ দুই সংগঠনের পক্ষে ডাকযোগে তাদের আইনজীবী জাকিয়া সুলতানা চিঠি পাঠিয়েছেন।

একই দিন সীমানা চিহ্নিত না করে বালু অপসারণ বন্ধ রাখার জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আরেকটি চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ।

দুই পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে যাঁদের চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা, চকরিয়া থানার ওসি এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এদিকে চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় বন বিভাগের জব্দ করা অবৈধ বালু ইউএনওর কাছ থেকে নিলামে কিনে নেওয়া একাধিক বন মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম পুতুকে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল অবৈধ বালু উত্তোলন ও গাছ কাটা-সংক্রান্ত মামলায় জামিনের জন্য কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এ নির্দেশ দেন।