আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ফরিদপুরে ক্ষমতাসীন দলের 'বিদ্রোহী প্রার্থী' থাকায় জমে উঠেছে ভোটের খেলা। এই নির্বাচনে যদিও শুধু জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার, তবু জেলার নয়টি উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১ হাজার ১৮১ জনের সমর্থন কাড়ার লড়াইয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন দুজনই।

চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) শাহাদাৎ হোসেন (চশমা), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম সিকদার (মোটর সাইকেল)। বর্তমানে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রথম দুজনেই। অপরদিকে সংরক্ষিত পদে ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৩৭ জন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্থ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। গত রোববার তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে নির্বাচনে যোগ হয় নতুন মাত্রা।

শাহাদাৎ এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।

ফারুক হোসেনের পক্ষে কেন্দ্রীয় ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন রুটিন করে দলবলে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। অপরদিকে স্বতন্ত্র এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার চেয়ারম্যানরা রয়েছেন শাহাদাতের সঙ্গে। তারাও ছুটছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।

উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ বর্ধিত সভা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শাহাদাৎ হোসেনকে ও তার মদদদাতা উল্লেখ করে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি করে। ওই দিনই নিক্সন সমর্থক জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন এবং যুবলীগের ভাঙ্গা পৌর কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে এক হাজার ১৮১ জন ভোটার ভোট দেবেন।