সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর প্রয়োগ হলেই সুশাসন নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে।

বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ফরিদপুর ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি’র) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

'তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক' এই প্রতিপাদ্যর আলোকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ওই সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশেকুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, ও সদর  উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা।

বক্তারা তাদের আলোচনায় তথ্য অধিকার আইনটির কার্যকর প্রয়োগে আরও ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি কেউ যাতে দুরভিসন্ধিমুলকভাবে কোন কর্মকর্তাকে হয়রানি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখার তাগিদ দেন।  

আলোচনা সভার শুরুতে সনাক এর পক্ষ থেকে জেলার তথ্য বাতায়নের অর্ন্তভুক্ত ৭১ টি দপ্তরের ওয়েব পোর্টালের উপর পরিচালিত একটি ফলোআপ জরিপরের ফলাফলসহ তথ্য অধিকার আইনটির উপর একটি উপস্থাপনা দেওয়া হয়। ওয়েব পোর্টালের ফলোআপ জরিপে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর উল্যেখযোগ্য হারে তথ্য হালনাগাদ হয়েছে।

মুক্ত আলোচনা পর্বে সনাক সভাপতি এ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, ফরিদপুরের গণমানুষের অধিকার সচেতন করে তুলতে তথ্য অধিকার আইনটি বাস্তবায়নে শুরু থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবে আমরা ফরিদপুরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে ওরিয়ন্টেশন প্রদান, তথ্য মেলার আয়োজন, তথ্য মেলার ডেস্ক পরিচালনা, আবেদন ফরম পুরণসহ আবেদন প্রতিযোগিতার মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। তিনি বলেন,এটি একটি জনবান্ধব আইন। আইনটি প্রচার পেলেই জনগণ আরও অধিকার সচেতন হয়ে উঠবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতাকে অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে 'তথ্য অধিকার' । এবছরের দিবসটির তাৎপর্য হলো 'তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক'। তথ্য জনগণের অধিকার আর মানুষের এই অধিকার নিশ্চিতকরণে তথ্য অধিকার আইনটি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই । তবে জনগণের মাধ্যমে যেন এই আইনের দ্বারা কোন সরকারি কর্মকর্তা হেনস্তার শিকার না হয় সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে।