দলীয় পদ হারানোর পর বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের সাংসদ পংকজ নাথ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে দলের নেতাকর্মীর বিপুল সংবর্ধনা পেয়েছেন। বুধবার মেহেন্দীগঞ্জ পৌঁছলে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাঁকে স্বাগত জানান।
স্পিডবোটে করে বেলা ১১টায় মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাটে পৌঁছান পংকজ। এর আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে সমবেত হন। পংকজকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি স্পিডবোট থেকে নেমে হেঁটে এক কিলোমিটার দূরে ডাকবাংলাতে পৌঁছান। বিপুলসংখ্যক নারীসহ নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে তাঁকে ডাকবাংলাতে পৌঁছে দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান হয়। দরিদ্রদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন পংকজ।
অনুষ্ঠানে পংকজ নাথ বলেন, 'আপা (প্রধানমন্ত্রী) মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমি আপার মাধ্যমে এখানকার উন্নয়নে আপনাদের সঙ্গে অংশীদার হয়ে আছি এবং থাকব।' পংকজের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম ভুলু সমকালকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলায় এমপির সংবর্ধনা কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এ কারণে শোভাযাত্রা পাতারহাট বন্দরে প্রবেশ করেনি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (আজ) মন্দিরে অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি ঢাকা চলে যাবেন।
মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সঙ্গে বিরোধের জেরে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পংকজ নাথকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এ সুপারিশ গ্রহণ করে গত ১২ সেপ্টেম্বর জবাব চেয়ে পংকজ নাথকে নোটিশ দেয়। এরপর থেকে মেহেন্দীগঞ্জে বিরোধীরা উল্লসিত থাকলেও পংকজ অনুসারীরা ছিলেন নীরব। বিরোধীদের অভিযোগ, পংকজ নাথের নির্দেশে হামলায় বিরোধীমতের ১০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ১০ বার নৌকা প্রতীক পরাজিত হয়েছে। দুই পক্ষের বিরোধে মেহেন্দীগঞ্জ রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়। তবে পংকজ নাথ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নৌকা প্রতীক দেওয়ায় তাঁরা জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন।