শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর নাঈম ইসলাম লাবন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার বেতমারী-ঘুঘরাকান্দি ইউনিয়নের একটি লেবু বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত লাবন সুবর্ণচর গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ঘুঘরাকান্দি মডেল একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফিরে লাবন বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু রাতভর অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি লেবু বাগানে লাবনের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবা মাসুদ আলী সমকালকে জানান, লাবনের সারা শরীর সিগারেটের আগুনে ঝলসানো ছিল। দুই কানে রড ঢোকানো হয়েছে। অণ্ডকোষ থেতলে দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া সমকালকে বলেন, ছেলেটির মরদেহ উদ্ধারের স্থানে নেশা করার জন্য টিউবের অনেকগুলো গাম ছিল। ছেলেটির সারা শরীর আঠাযুক্ত ছিল।

তিনি আরও বলেন, নেশাখোর বা দুষ্কৃতিকারীদের দিয়ে কেউ এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।